View cart “ইসলামী আকীদাহ: তাওহীদ শিরক বিদআত” has been added to your cart.
তাওহীদ পন্থীদের নয়নমণি

তাওহীদ পন্থীদের নয়নমণি

প্রাপ্যতা: In stock

Be the first to review this product

Quick Overview

মূলঃ শাইখ আব্দুর রহমান বিন হাসান বিন মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওয়াহাব (রহ.)

অনুবাদঃ শাইখ আব্দুল্লাহ শাহেদ আল-মাদানী

كتاب التوحيد

ব্যাখ্যাঃ ভাষ্যকার বলেনঃ গ্রন্থকার ‘বিস্মিল্লাহির রাহমানির রাহীম’ দ্বারা কিতাবুত্ তাওহীদ লিখা শুরু করেছেন। তিনি আরো বলেনঃ কিতাবুত তাওহীদের ব্যাখ্যাগ্রন্থ ‘ফাতহুল মাজীদে’ আমি বিস্মিল্লাহ্-এর বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেছি। বিস্মিল্লাহ্-এর মাধ্যমে সকল কাজ-কর্ম শুরু করা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর পবিত্র সুন্নাতের অন্তর্ভূক্ত। সুন্নাতের অনুসরণ করেই ইমাম বুখারী এবং অন্যান্য আলেমগণ বিসমিল্লাহ্ দ্বারা তাদের কিতাব লিখা শুরু করেছেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিভিন্ন দেশের রাজা-বাদশাহ এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নামে চিঠি লেখার সময় বিসমিল্লাহ লিখতেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একটি প্রসিদ্ধ হাদীছে যে কোন গুরুত্বপূর্ণ কাজ বিসমিল্লাহ দিয়ে শুরু করার আদেশ দিয়েছেন। ইমাম ইবনে মাজাহ হাদীছটি বর্ণনা করেছেন।
গ্রন্থকার এখানে ‘তাওহীদ’ দ্বারা ‘তাওহীদুল ইবাদাহ’ তথা এককভাবে আল্লাহর ইবাদত করাকে বুঝিয়েছেন।

. তবে হাদীছের সনদ দুর্বল। যাঈফু সুনানে আবী দাউদ হা/১৮৯৪, ইরাউল গালীল হা/২।
. আলেমগণ কুরআন ও হাদীছের আলোকে তাওহীদকে তিনভাবে বিভক্ত করেছেনঃ
ক) তাওহীদে রুবুবীয়াহঃ তাওহীদে রুবুবিয়্যাহ হল দৃঢ়ভাবে এ বিশ্বাস করা যে, আল্লাহ তাআলা সব কিছুর প্রতিপালক, তিনিই সব কিছুর মালিক, সৃষ্টি কর্তা, ব্যবস্থাপক ও পরিচালক। তার রাজত্বে কোন অংশীদার নেই। তিনি দুর্দশাগ্রস্ত হন না, যে কারণে তাঁর কোন সাহায্যকারীর প্রয়োজন হতে পারে। তাঁর ফয়সালাকে কেউ পরিবর্তন করতে পারে না, তার আদেশ প্রত্যাখ্যান করার মত কেউ নেই, তাঁর কোন প্রতিদ্বন্দ্বী নেই, তাঁর অনুরূপ আর কেউ নেই, নেই তাঁর কোন সমতুল্য। তাঁর প্রতিপালনাধীন কোন বিষয়ের বিরোধী কেউ নেই এবং তাঁর নাম ও গুণাবলীতেও কোন শরীক নেই। আল্লাহ্ তাআলা আরো বলেনঃ

﴿قُلْ مَنْ رَبُّ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ قُلْ اللَّهُ قُلْ أَفَاتَّخَذْتُمْ مِنْ دُونِهِ أَوْلِيَاءَ لاَ يَمْلِكُونَ لأَنفُسِهِمْ نَفْعًا وَلاَ ضَرًّا قُلْ هَلْ يَسْتَوِي الأَعْمَى وَالْبَصِيرُ أَمْ هَلْ تَسْتَوِي الظُّلُمَاتُ وَالنُّورُ أَمْ جَعَلُوا لِلَّهِ شُرَكَاءَ خَلَقُوا كَخَلْقِهِ فَتَشَابَهَ الْخَلْقُ عَلَيْهِمْ قُل اللَّهُ خَالِقُ كُلِّ شَيْءٍ وَهُوَ الْوَاحِدُ الْقَهَّارُ﴾

“বলো! কে আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর প্রতিপালক? বলোঃ আল্লাহ। বলোঃ তবে কি তোমরা আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্যদেরকে অভিভাবকরূপে গ্রহণ করেছো, যারা নিজেদের লাভ ও ক্ষতি সাধনে সক্ষম নয়? তুমি বলোঃ অন্ধ ও চক্ষুষ্মান কি সমান? অথবা অন্ধকার ও আলো কি সমান? তবে কি তারা আল্লাহর এমন শরীক স্থাপন করেছে যারা তাঁর সৃষ্টির মত সৃষ্টি করেছে যে কারণে সৃষ্টি তাদের মধ্যে বিভ্রান্তি ঘটিয়েছে? বলোঃ আল্লাহ সকল বস্তুর স্রষ্টা; তিনি একক ও পরাক্রমশালী”। আল্লাহ তাআলা আরো বলেনঃ

﴿أَمْ خُلِقُوا مِنْ غَيْرِ شَيْءٍ أَمْ هُمْ الْخَالِقُونَ * أَمْ خَلَقُوا السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ بَل لاَ يُوقِنُونَ﴾

“তারা কি কোন কিছু ব্যতীতই সৃষ্টি হয়েছে? না তারা নিজেরাই স্রষ্টা? না কি তারা আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছে? বরং তারা বিশ্বাস করেনা”। (সূরা তুরঃ ৩৫-৩৬)
সর্বকালের অধিকাংশ বনী আদমই এই প্রকার তাওহীদ তথা তাওহীদে রুবুবীয়ার প্রতি বিশ্বাস করেছে এবং তা মেনে নিয়েছে। জাহেলী যুগের মক্কার মুশরিকরাও তা মেনে নিয়েছিল। কুরআন মজীদে এর অনেক প্রমাণ রয়েছে। আল্লাহ্ তাআলা বলেনঃ

﴿وَلَئِنْ سَأَلْتَهُمْ مَنْ خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ لَيَقُولُنَّ اللَّهُ﴾

“এবং তুমি যদি তাদেরকে প্রশ্ন করো- আসমান ও যমীন কে সৃষ্টি করেছে? তবে অবশ্যই তারা বলবেঃ আল্লাহ্। (সূরা লুকমানঃ ২৫) আল্লাহ তাআলা আরো বলেনঃ

﴿قُلْ مَنْ يَرْزُقُكُمْ مِنْ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ أَمَّنْ يَمْلِكُ السَّمْعَ وَالْأَبْصَارَ وَمَنْ يُخْرِجُ الْحَيَّ مِنْ الْمَيِّتِ وَيُخْرِجُ الْمَيِّتَ مِنْ الْحَيِّ وَمَنْ يُدَبِّرُ الْأَمْرَ فَسَيَقُولُونَ اللَّهُ فَقُلْ أَفَلَا تَتَّقُونَ﴾

“তুমি জিজ্ঞেস করো, আসমান ও যমীন থেকে কে রিযিক দান করে তোমাদেরকে ? কিংবা কে তোমাদের কান ও চোখের মালিক? তা ছাড়া কে জীবিতকে মৃত থেকে বের করেন এবং কেইবা মৃতকে জীবিতের মধ্য থেকে বের করেন? কে করেন কর্ম সম্পাদনের ব্যবস্থাপনা? তখন তারা বলে উঠবে, আল্লাহ্! তখন তুমি  বলো, তারপরও কি ভয় করবেনা? (সূরা ইউনুসঃ ৩১)
মুসলিম হিসাবে গণ্য হওয়ার জন্য শুধু তাওহীদে রুবুবীয়াতে বিশ্বাস যথেষ্ট নয়। তাওহীদে উলুহীয়াতে বিশ্বাস না করা পর্যন্ত কাউকে মুমিন হিসাবে গণ্য করা হবেনা। কারণ মক্কাবাসীরা তাওহীদে রুবুবীয়াতে বিশ্বাস করত। কিন্তু আল্লাহর ইবাদতে তারা শরীক স্থাপন করত। আল্লাহ্ তাআলা বলেনঃ

﴿وَمَا يُؤْمِنُ أَكْثَرُهُمْ بِاللَّهِ إِلَّا وَهُمْ مُشْرِكُونَ﴾

“আর অধিকাংশ মানুষই আল্লাহ্র প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে, কিন্তু সাথে সাথে শির্কেও লিপ্ত হয়”। (সূরা ইউসুফঃ ১০৬) এখানে ঈমান বলতে তাওহীদে রুবুবীয়া উদ্দেশ্য। শুধু তাওহীদে রুবুবীয়াতের প্রতি ঈমান আনয়ন করাকে মুসলিম হওয়ার জন্য যথেষ্ট গণ্য করা হয়নি।
এ জন্যই মক্কাবাসীরা এতে ঈমান আনয়ন করা সত্ত্বেও নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের বিরুদ্ধে বদর, উহুদ ও খন্দকসহ বহু যুদ্ধ পরিচালনা করেছেন। মুসলিম হওয়ার জন্য যদি শুধু আল্লাহ্ তাআলা রুবুবীয়াতের প্রতি ঈমান আনয়ন করাই যথেষ্ট হত, তাহলে তিনি কখনই তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতেন না এবং তাদের জান ও মালকে হালাল মনে করতেন না।

Quantity

৳ 320

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “তাওহীদ পন্থীদের নয়নমণি”

19
    19
    Your Cart
    আসবাবুন নুযুল
    জিহবার আপদ
    জিহবার আপদ
    4 X ৳ 100 = ৳ 400
    উসূলুল ঈমান
    উসূলুল ঈমান
    1 X ৳ 285 = ৳ 285
    মহিলার নামাজ
    নাম অভিধান
    1 X ৳ 100 = ৳ 100
    পর্দার বিধান